Slide 1
Slide 1
Slide 1
Slide 1
previous arrow
next arrow

 বাংলা সাহিত্যের অনন্য স্রষ্টা জীবনানন্দ দাশ

 

তাঁর পিতা সত্যানন্দ শিক্ষক ছিলেন, তাঁর বিয়ে হয় কুসুমকুমারীর সঙ্গে, স্কুলের ছাত্রী থাকতেই যাঁর কবিতা প্রকাশ হতো পত্রিকায় । জীবনানন্দ কলকাতায় এম.এ. পাশ করে সিটি কলেজে শিক্ষকতা শুরু করেন । ছাত্রজীবনেই তাঁর কবিতা বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়, সেগুলি গ্রন্থিত হয় তাঁর প্রথম বই ‘ঝরা পালক’এ । সিটি কলেজ আর্থিক দুরাবস্থায় পড়লে জীবনানন্দ তাঁর চাকরি হারান, সেই সময়ের মানসিক নৈরাশ্যের মধ্যে এক নিজস্ব অনবদ্য স্টাইল গড়ে তুলে তিনি লেখেন ‘ধূসর পান্ডুলিপি’র কবিতাগুলি । ১৯৩০এ তাঁর বিয়ে হয় লাবণ্যর সঙ্গে । ১৯৩২এ কয়েক সপ্তাহের জন্য বরিশালে গিয়ে প্রকৃতির প্রেমে বিভোর হয়ে লিখে ফেলেন এক খাতা ভর্তি কবিতা—যা পরে গ্রন্থিত হয় ‘রূপসী বাংলা’ নামে । ১৯৩৫এ বরিশালের বি.এম. কলেজে শিক্ষকের কাজ পেয়ে তিনি বরিশালে বাস করেন ১৯৪৬ অবধি—এই সময় তিনি প্রচুর কবিতা, গল্প ও উপন্যাস লেখেন, যদিও তাঁর কোনও গদ্য লেখাই তাঁর জীবদ্দশায় প্রকাশিত হয়নি । তিনি ১৯৪৬এ চলে আসেন কলকাতায়, আবার পড়েন কর্মহীনতার সংকটে, য়দিও তাঁর লেখালেখি অব্যহত থাকে। ১৯৫৩তে হাওড়া গার্লস কলেজে কাজ পাবার পর তাঁর সমস্যা কিছুটা লাঘব হয় । ১৯৫৪ সালের অক্টোবর মাসে এক ট্রাম দুর্ঘটনাতে গুরুতরভাবে আহত হয়ে ২২শে অক্টোবর তাঁর মৃত্যু হয় ।

বাংলা সাহিত্যের অনন্য স্রষ্টা নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী

নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী জন্ম হয় ও প্রথম শৈশব কাটে বর্তমান বাংলাদেশের ফরিদপুরে। কলকাতার সেন্ট পলস কলেজ থেকে স্নাতক হন, ১৯৪৬এ প্রকাশিত হয় তাঁর প্রথম বিখ্যাত কবিতা “শহিদ রামেশ্বর” । ১৯৫৪তে প্রকাশ হয় তাঁর প্রথম কবিতার বই “নীল নির্জন”, তার প্রচ্ছদ আঁকেন সত্যজিৎ রায় । মূলত কবি হিসাবে বিখ্যাত হলেও প্রচুর গদ্যও লিখেছেন । “অন্ধকার বারান্দা”, “কলকাতার যীশু”, “উলঙ্গ রাজা”, “চল্লিশের দিনগুলি” তাঁর উল্লেখযোগ্য কবিতার বই । “উলঙ্গ রাজা” বইয়ের জন্য তিনি আকাদেমী পুরষ্কার অর্জন করেন, সাহিত্য আকাদেমির ফেলো হয়েছিলেন । সৃষ্টি করেছেন গোয়েন্দা চারু ভাদুড়িকে । “নীর বিন্দু” তাঁর আত্মজীবনী । এছাড়া তিনি লিখেছেন অনেক ছড়া, প্রবন্ধ, অনুবাদ, আর “আউটডোর”-এর মতো ব্যতিক্রমী বই । এক যুগের বেশি “আনন্দমেলা” সম্পাদনা করেন । ছদ্মনাম কবি কঙ্কন ।

বাংলা সাহিত্যের অনন্য স্রষ্টা নলিনী দাশ

তিনি ছিলেন অত্যন্ত মেধাবী ছাত্রী, তিরিশের দশকের মাঝামাঝি থেকে কলকাতার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অধ্যাপনা করেন ও অধ্যক্ষা ছিলেন । ৪০ ও ৫০এর দশকে খুদে গোয়েন্দাদের নিয়ে দুটি গল্প লেখেন । ১৯৬১তে সত্যজিতের “সন্দেশ”এ নিয়মিত গল্প লিখতে শুরু করেন । লিখেছেন বেশ কিছু রোমাঞ্চকর গল্প । তার মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হয় গোয়েন্দা গণ্ডালুর গল্প-উপন্যাস, চারটি স্কুলের ছাত্রী যাদের প্রত্যেকের ডাকনামের শেষ “লু” দিয়ে । মোট ২৯টি গণ্ডালু কাহিনী পরে সংকলিত হয়েছে দুটি খণ্ডে । পরে তিনি ভাই সত্যজিতের ছেলেবেলার গল্প খুব সরস করে লেখেন । তিনি বিদ্যাসাগর পুরষ্কারও অর্জন করেন । তাঁর নাম “সন্দেশ”-এর যুগ্ম সম্পাদক ছিল প্রায় দুই দশক, যদিও এর আগে আরও এক দশক “সন্দেশ”-এর দপ্তর তাঁর বাড়িতেই ছিল । 

বাংলা সাহিত্যের অনন্য স্রষ্টা অমিতানন্দ দাশ

জীবনানন্দের ভাই অশোকানন্দ বিয়ে করেন উপেন্দ্রকিশোরের নাতনী নলিনীকে। তাঁদের ছেলে অমিতানন্দ পদার্থবিদ্যায় স্নাতক হয়ে রেডিও-ফিজিকসে এম.টেক. ডিগ্রি লাভ করেন ও সেমিকন্ডাক্টরের উপর কয়েক বছর গবেষণা করেন। এই সময়ে তাঁর গল্প ও উপন্যাস পত্রিকায় প্রকাশ হতে শুরু করে। “বিস্ময় সায়েন্স ফিকশন” পত্রিকার সঙ্গেও তিনি যুক্ত ছিলেন। পেশাগতভাবে তিনি একটি বেসরকারী সংস্থায় কাজ করেন ও ডাইরেক্টর পদে পৌঁছন। পরে তিনি নিজের ব্যবসা শুরু করেন। ১৯৯২ তে অশোকানন্দের মৃত্যুর পর তিনি “নিউ স্ক্রিপ্ট” প্রকাশনা সংস্থার ভার গ্রহণ করেন। তখন থেকে তিনি “সন্দেশ” প্রকাশনার সঙ্গে যুক্ত আছেন ও তাঁর গল্প, উপন্যাস ও প্রবন্ধ নিয়মিত “সন্দেশ”, “শুকতারা”, “কিশোর ভারতী” ইত্যাদি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।

বাংলা সাহিত্যের অনন্য স্রষ্টা সুকুমার রায়

উপেন্দ্রকিশোরের বড় ছেলে সুকুমার প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে পদার্থবিদ্যা ও রসায়নে ডবল অনার্স নিয় স্নাতক হন । তিনি ছাপাখানার প্রযুক্তিতে উচ্চশিক্ষার জন্য বিলেতে যান । তিনি রয়্যাল ফোটো-গ্রাফিক সোসাইটির মেম্বার ও পরে “ফেলো” হন । ১৯২৫এ উপেন্দ্রকিশোরের মৃত্যুর পর তিনি ইউ. রয় অ্যান্ড সন্সের কর্ণধার ও সন্দেশ পত্রিকার সম্পাদক হন । তাঁর লেখার মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত ছড়া (“আবোল তাবোল”, “খাই খাই”, ইত্যাদি); গল্প (“পাগলা দাশু”, ইত্যাদি); আর নাটক (“লক্ষণের শক্তিশেল”, “ঝালাপালা”, ইত্যাদি) । মাত্র ৩৬ বছর বয়সে তাঁর অকালমৃত্যু হয় ।

সুকুমার রায়

আমাদের অন্যান্য বাছাই বই