আগন্তুক (সত্যজিৎ রায়)

400.00

Hardback ISBN 9789395434041
Pages 108 plus 24 pages colour

follow Us

‘আগন্তুক’ বাবার ছোটগল্প থেকে তৈরি প্রথম পূর্ণাঙ্গ ছবি। এ ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেন উৎপল দত্ত। উৎপলদার সঙ্গে রায় পরিবারের বহু কালের সম্পর্ক। এছাড়া উৎপলদার নাটকের বেজায় ভক্ত ছিলেন বাবা। তাই মনোমোহন মিত্র-র মতো এমন একজন জ্ঞানী অভিজ্ঞ পর্যটকের ভূমিকায় তাঁকে ছাড়া আরও কোনও অভিনেতাকে ভাবা যায়নি। মনে আছে চিত্রনাট্য পড়ার পর বাবা তাঁকে বলেছিলেন–‘মনে রেখ-এ ছবিতে কিন্তু তুমি আমার স্পোক্সম্যান।’ ময়দানের দৃশ্য দিয়ে ‘আগন্তুক’-এর শুটিং শুরু হয় ১৯৯০ সালের ২২শে নভেম্বর।  তবে ছবির গোটা শুটিং মোটামুটি নির্বিঘ্নেই হয়। বিশেষ করে বোলপুরে সাঁওতাল নাচের দৃশ্যটি তুলে বাবা খুব তৃপ্তি পেয়েছিলেন। এই নাচের আয়োজন করেছিলেন মোহরদি (কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়)। মোহরদির গানের শুধু ভক্তই ছিলেন না বাবা, তাঁকে অত্যন্ত স্নেহও করতেন।

‘আগন্তুক’ মুক্তি পায় বাবার মৃত্যুর পর। ১৯৯২ সালে। ১০ই জুলাই ঘোর বর্ষায়, বড় দায়সারা ভাবে। খুব যে ভালো চলেছিল তা নয়, কিন্তু যারা দেখেছিলেন, মুগ্ধ হয়েছিলেন। তবে ফ্রান্সে ছবিটা চূড়ান্ত সাফল্য অর্জন করে। টানা দশ সপ্তাহ চলে সেখানে ১৯৯২ সালের শ্রেষ্ঠ দশটি বিদেশী ফিল্মের মধ্যে স্থান পায় ‘আগন্তুক’। আর সেই সময়েই ছবিটি দেখেন বিশ্ব-বিখ্যাত ফরাসী ফটোগ্রাফার অঁরি কার্তিয়ের ব্রেসোঁ। এবং দেখেই আপ্লুত হয়ে মা-কে একটি টেলিগ্রাম করেন। বাবা ৪০-এর দশক থেকেই ব্রেসোঁর গুনমুগ্ধ ছিলেন। দুজনের আলাপ ছিল।

সন্দীপ রায়

 

সত্যজিৎ রায়

৪০এর দশকের গোড়ায় তাঁর দুটি ইংরেজি গল্প বেরোয় “অমৃতবাজার পত্রিকা”য় । বাংলায় তাঁর প্রথম প্রবন্ধ লেখেন ১৯৪৯এ, সে বছর প্রকাশিত “চলচ্চিত্র” বার্ষিকীতে । ১৯৫৫ সালে মুক্তি পায় “পথের পাঁচালী”, ও ছবিটি আন্তর্জাতিক খ্যাতি অর্জন করে । পরবর্তী চার দশক ধরে তাঁর বেশ কয়েকটি ছবি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে সম্মান অর্জন করে,যেমন অপরাজিত, মহানগর, চারুলতা, আগন্তুক । তিনি প্রথম ভারতীয় যিনি সাম্মানিক অস্কার অর্জন করেন । তার পর ফিল্ম নিয়ে তিনি বেশ কিছু প্রবন্ধ লেখেন । ১৯৬১র মে মাস থেকে “সন্দেশ” বেরোয়, সম্পাদক ছিলেন সত্যজিৎ রায় ও সুভাষ মুখোপাধ্যায়, পত্রিকার প্রথম সংখ্যাতেই প্রকাশ হয় সত্যজিতের করা লিয়ারের ছড়ার অনুবাদ । সে বছরই শারদীয়া থেকে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয় তাঁর প্রথম শঙ্কু উপন্যাস। ১৯৬২র গোড়াতে প্রকাশিত হয় তাঁর প্রথম মৌলিক বাংলা গল্প “বঙ্কউবাবুর বন্ধু” । ১৯৬৫র ডিসেম্বর থেকে আসে জনপ্রিয় ফেলুদা । ১৯৬০এর মাঝামাঝি প্রকাশিত হয় তাঁর প্রথম বই “প্রফেসর শঙ্কু”, ৬০এর শেষদিকে তাঁর “এক ডজন গপ্পো”, আর কয়েক মাস পরে ফেলুদা উপন্যাস “বাদশাহী আংটি” । এর পর থেকে ওঁর লেখা ও বই নিয়মিত প্রকাশিত হতে থাকে । ১৯৮১তে প্রকাশিত হয় ওঁর আত্মজীবনী । ১৯৮২তে তিনি সৃষ্টি করেন আরেকটি নতুন দারাবাহিক চরিত্র তারিণীখুড়ো । ওঁর প্রায় সব গল্পে ও বইতে আছে ওঁর নিজস্ব অলঙ্করণ, “সন্দেশ” পত্রিকাতেও তিনি অসংখ্য অলঙ্করণ করেন ও প্রচ্ছদ  আঁকেন |