- +91 9836250829
- new.script.in@gmail.com
- এ (পি), কলেজ স্ট্রিট মার্কেট, কলকাতা ৭০০০০৭


₹120.00
সন্দেশ প্রকাশিত সেরা রহস্য গল্প এই সংকলনে বেছে নিয়েছেন সন্দেশ তৎকালীন তিন সম্পাদক । লেখকদের মধ্যে অবশ্যই আছেন তিন সম্পাদক তাছাড়াও আছেন সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় মহাশ্বেতা দেবী শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায় আর একগুচ্ছ অপেক্ষাকৃত কম বয়সী সন্দেশ লেখক|
সত্যজিৎ রায় (১৯২১-১৯৯২)
৪০এর দশকের গোড়ায় তাঁর দুটি ইংরেজি গল্প বেরোয় “অমৃতবাজার পত্রিকা”য় । বাংলায় তাঁর প্রথম প্রবন্ধ লেখেন ১৯৪৯এ, সে বছর প্রকাশিত “চলচ্চিত্র” বার্ষিকীতে । ১৯৫৫ সালে মুক্তি পায় “পথের পাঁচালী”, ও ছবিটি আন্তর্জাতিক খ্যাতি অর্জন করে । পরবর্তী চার দশক ধরে তাঁর বেশ কয়েকটি ছবি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে সম্মান অর্জন করে,যেমন অপরাজিত, মহানগর, চারুলতা, আগন্তুক । তিনি প্রথম ভারতীয় যিনি সাম্মানিক অস্কার অর্জন করেন । ফিল্ম নিয়ে তিনি বেশ কিছু প্রবন্ধ লেখেন । ১৯৬১র মে মাস থেকে “সন্দেশ” বেরোয়, সম্পাদক ছিলেন সত্যজিৎ রায় ও সুভাষ মুখোপাধ্যায়, পত্রিকার প্রথম সংখ্যাতেই প্রকাশ হয় সত্যজিতের করা লিয়ারের ছড়ার অনুবাদ । সে বছরই শারদীয়া থেকে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয় তাঁর প্রথম শঙ্কু উপন্যাস। ১৯৬২র গোড়াতে প্রকাশিত হয় তাঁর প্রথম মৌলিক বাংলা গল্প “বঙ্কউবাবুর বন্ধু” । ১৯৬৫র ডিসেম্বর থেকে আসে জনপ্রিয় ফেলুদা । ১৯৬০এর মাঝামাঝি প্রকাশিত হয় তাঁর প্রথম বই “প্রফেসর শঙ্কু”, ৬০এর শেষদিকে তাঁর “এক ডজন গপ্পো”, আর কয়েক মাস পরে ফেলুদা উপন্যাস “বাদশাহী আংটি” । এর পর থেকে ওঁর লেখা ও বই নিয়মিত প্রকাশিত হতে থাকে । ১৯৮১তে প্রকাশিত হয় ওঁর আত্মজীবনী । ১৯৮২তে তিনি সৃষ্টি করেন আরেকটি নতুন দারাবাহিক চরিত্র তারিণীখুড়ো । ওঁর প্রায় সব গল্পে ও বইতে আছে ওঁর নিজস্ব অলঙ্করণ, “সন্দেশ” পত্রিকাতেও তিনি অসংখ্য অলঙ্করণ করেন ও প্রচ্ছদ আঁকেন ।
লীলা মজুমদার
ছোটবেলা কেটেছে শিলং শহরে । মাত্র ১৪ বছর বয়সে তাঁর প্রথম গল্প প্রকাশিত হয় “সন্দেশ” পত্রিকায়, যার সম্পাদক তখন ছিলেন সুকুমার রায় । বিশ্ববিদ্যালয়ে খুবই মেধাবী ছাত্রী ছিলেন । ১৯৪০ সালে তাঁর প্রথম বই “বদ্যিনাথের বড়ি” প্রকাশিত হয় । এর পর ৫০এর দশক অবধি তাঁর বই প্রকশিত হয় “দিনে দুপুরে”, “পদীপিসির বর্মীবাক্স”, “হলদে পাখির পালক” ইত্যাদি । তিনি কিছুদিন অধ্যাপনা করেন, কিছুদিন আকাশবাণীতে কাজ করতেন । দীর্ঘদিন (১৯৬৩ থেকে) তৃতীয় পর্যায়ের “সন্দেশ”-এর যুগ্ম-সম্পাদক ছিলেন । “বক বধ পালা” নাটকের জন্য সঙ্গীত নাটক আকাদেমী পুরষ্কার অর্জন করেন, আত্মজীবনী “আর কোনও খানে”র জন্য অর্জন করেন রবীন্দ্র পুরষ্কার । প্রয়াত হন ২০০৭ সালে, ৯৯ বছর বয়সে ।
নলিনী দাশ (১৯১৬-১৯৯৩)
তিনি ছিলেন অত্যন্ত মেধাবী ছাত্রী, তিরিশের দশকের মাঝামাঝি থেকে কলকাতার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অধ্যাপনা করেন ও অধ্যক্ষা ছিলেন । ৪০ ও ৫০এর দশকে খুদে গোয়েন্দাদের নিয়ে দুটি গল্প লেখেন । ১৯৬১তে সত্যজিতের “সন্দেশ”এ নিয়মিত গল্প লিখতে শুরু করেন । লিখেছেন বেশ কিছু রোমাঞ্চকর গল্প । তার মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হয় গোয়েন্দা গণ্ডালুর গল্প-উপন্যাস, চারটি স্কুলের ছাত্রী যাদের প্রত্যেকের ডাকনামের শেষ “লু” দিয়ে । মোট ২৯টি গণ্ডালু কাহিনী পরে সংকলিত হয়েছে দুটি খণ্ডে । পরে তিনি ভাই সত্যজিতের ছেলেবেলার গল্প খুব সরস করে লেখেন । তিনি বিদ্যাসাগর পুরষ্কারও অর্জন করেন । তাঁর নাম “সন্দেশ”-এর যুগ্ম সম্পাদক ছিল প্রায় দুই দশক, যদিও এর আগে আরও এক দশক “সন্দেশ”-এর দপ্তর তাঁর বাড়িতেই ছিল ।
©2020. নিউ স্ক্রিপ্ট. All Rights Reserved.