- +91 9836250829
- new.script.in@gmail.com
- এ (পি), কলেজ স্ট্রিট মার্কেট, কলকাতা ৭০০০০৭


₹500.00
১৯৫৩ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি পরশুরাম অর্থাৎ, রাজশেখর বসুর সঙ্গে বাবার প্রথম আলাপ। সেই সময় পরশুরামের তিনটি গল্পের উনি ছবি এঁকেছিলেন। পরে আরো তিনটি গল্প থেকে তৈরি করেন চিত্রনাট্য। ‘পরশ পাথর’ ও ‘বিরিঞ্চিবাবা’ অবলম্বনে ‘মহাপুরুষ’ লেখেন নিজের জন্য, ‘বটেশ্বরের অবদান’ লেখা হয় আমার জন্য।
১৯৮৫-তে ন্যাশনাল টিভির জন্য ‘সত্যজিৎ রায় প্রেজেন্টস্’ নামের একটি ১৩ পর্বের সিরিজ আমি পরিচালনা করি। সমস্ত গল্প বাছাই ও চিত্রনাট্য বাবা-ই করে দেন। সেই সিরিজের একটি গল্প ‘বটেশ্বরের অবদান’। হিন্দিতে তৈরি হবে বলে বাবা চিত্রনাট্য লেখেন ইংরিজিতে, ও তার নাম দেন ‘হ্যাপি এন্ডিং’।
বাবার ইলাসট্রেট করা পরশুরামের তিনটি লেখা, এবং ‘পরশ পাথর’, ‘বিরিঞ্চিবাবা’ ও ‘বটেশ্বরের অবদান’-এর মূল গল্প আর চিত্রনাট্য নিয়ে এই বই। এ ছাড়াও থাকছে গোটা তিনেক লেখা। একটি আমার, অন্য দুটি রাজশেখরের প্রপৌত্র দীপঙ্কর বসু ও শিল্পী দেবাশীষ দেব-এর।
সন্দীপ রায়
পরশুরাম (রাজশেখর বসু) [১৮৮০-১৯৬০]
ছিলেন রসায়নবিদ, বেঙ্গল কেমিকালের উচ্চপদস্থ কর্মচারী । বয়সে চল্লিশ পেরিয়ে পরশুরাম ছদ্মনামে লিখলেন “শ্রী শ্রী সিদ্ধেশ্বরী লিমিটেড” নামে একটি গল্প, তাতে অলঙ্করণ করেন তাঁর বন্ধু যতীন্দ্রকুমার সেন । প্রথম বই ‘গড্ডলিকা’ । গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ, অনুবাদ সবই করেন । তৈরি করেন বাংলা অভিধান চলন্তিকা ।
সত্যজিৎ রায় (১৯২১-১৯৯২)
৪০এর দশকের গোড়ায় তাঁর দুটি ইংরেজি গল্প বেরোয় “অমৃতবাজার পত্রিকা”য় । বাংলায় তাঁর প্রথম প্রবন্ধ লেখেন ১৯৪৯এ, সে বছর প্রকাশিত “চলচ্চিত্র” বার্ষিকীতে । ১৯৫৫ সালে মুক্তি পায় “পথের পাঁচালী”, ও ছবিটি আন্তর্জাতিক খ্যাতি অর্জন করে । পরবর্তী চার দশক ধরে তাঁর বেশ কয়েকটি ছবি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে সম্মান অর্জন করে,যেমন অপরাজিত, মহানগর, চারুলতা, আগন্তুক । তিনি প্রথম ভারতীয় যিনি সাম্মানিক অস্কার অর্জন করেন । ফিল্ম নিয়ে তিনি বেশ কিছু প্রবন্ধ লেখেন । ১৯৬১র মে মাস থেকে “সন্দেশ” বেরোয়, সম্পাদক ছিলেন সত্যজিৎ রায় ও সুভাষ মুখোপাধ্যায়, পত্রিকার প্রথম সংখ্যাতেই প্রকাশ হয় সত্যজিতের করা লিয়ারের ছড়ার অনুবাদ । সে বছরই শারদীয়া থেকে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয় তাঁর প্রথম শঙ্কু উপন্যাস। ১৯৬২র গোড়াতে প্রকাশিত হয় তাঁর প্রথম মৌলিক বাংলা গল্প “বঙ্কউবাবুর বন্ধু” । ১৯৬৫র ডিসেম্বর থেকে আসে জনপ্রিয় ফেলুদা । ১৯৬০এর মাঝামাঝি প্রকাশিত হয় তাঁর প্রথম বই “প্রফেসর শঙ্কু”, ৬০এর শেষদিকে তাঁর “এক ডজন গপ্পো”, আর কয়েক মাস পরে ফেলুদা উপন্যাস “বাদশাহী আংটি” । এর পর থেকে ওঁর লেখা ও বই নিয়মিত প্রকাশিত হতে থাকে । ১৯৮১তে প্রকাশিত হয় ওঁর আত্মজীবনী । ১৯৮২তে তিনি সৃষ্টি করেন আরেকটি নতুন দারাবাহিক চরিত্র তারিণীখুড়ো । ওঁর প্রায় সব গল্পে ও বইতে আছে ওঁর নিজস্ব অলঙ্করণ, “সন্দেশ” পত্রিকাতেও তিনি অসংখ্য অলঙ্করণ করেন ও প্রচ্ছদ আঁকেন ।
©2020. নিউ স্ক্রিপ্ট. All Rights Reserved.