যুগলবন্দী (পরশুরাম ও সত্যজিৎ রায়)

500.00

Hardback ISBN-978-93-95434-02-7
Pages 164 164 plus 2 colour inserts

follow Us

১৯৫৩ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি পরশুরাম অর্থাৎ, রাজশেখর বসুর সঙ্গে বাবার প্রথম আলাপ। সেই সময় পরশুরামের তিনটি গল্পের উনি ছবি এঁকেছিলেন। পরে আরো তিনটি গল্প থেকে তৈরি করেন চিত্রনাট্য। ‘পরশ পাথর’ ও ‘বিরিঞ্চিবাবা’ অবলম্বনে ‘মহাপুরুষ’ লেখেন নিজের জন্য, ‘বটেশ্বরের অবদান’ লেখা হয় আমার জন্য।
১৯৮৫-তে ন্যাশনাল টিভির জন্য ‘সত্যজিৎ রায় প্রেজেন্টস্’ নামের একটি ১৩ পর্বের সিরিজ আমি পরিচালনা করি। সমস্ত গল্প বাছাই ও চিত্রনাট্য বাবা-ই করে দেন। সেই সিরিজের একটি গল্প ‘বটেশ্বরের অবদান’। হিন্দিতে তৈরি হবে বলে বাবা চিত্রনাট্য লেখেন ইংরিজিতে, ও তার নাম দেন ‘হ্যাপি এন্ডিং’।
বাবার ইলাসট্রেট করা পরশুরামের তিনটি লেখা, এবং ‘পরশ পাথর’, ‘বিরিঞ্চিবাবা’ ও ‘বটেশ্বরের অবদান’-এর মূল গল্প আর চিত্রনাট্য নিয়ে এই বই। এ ছাড়াও থাকছে গোটা তিনেক লেখা। একটি আমার, অন্য দুটি রাজশেখরের প্রপৌত্র দীপঙ্কর বসু ও শিল্পী দেবাশীষ দেব-এর।
সন্দীপ রায়

 

পরশুরাম (রাজশেখর বসু) [১৮৮০-১৯৬০]

ছিলেন রসায়নবিদ, বেঙ্গল কেমিকালের উচ্চপদস্থ কর্মচারী । বয়সে চল্লিশ পেরিয়ে পরশুরাম ছদ্মনামে লিখলেন “শ্রী শ্রী সিদ্ধেশ্বরী লিমিটেড” নামে একটি গল্প, তাতে অলঙ্করণ করেন তাঁর বন্ধু যতীন্দ্রকুমার সেন । প্রথম বই ‘গড্ডলিকা’ । গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ, অনুবাদ সবই করেন । তৈরি করেন বাংলা অভিধান চলন্তিকা ।

 

সত্যজিৎ রায় (১৯২১-১৯৯২)

৪০এর দশকের গোড়ায় তাঁর দুটি ইংরেজি গল্প বেরোয় “অমৃতবাজার পত্রিকা”য় । বাংলায় তাঁর প্রথম প্রবন্ধ লেখেন ১৯৪৯এ, সে বছর প্রকাশিত “চলচ্চিত্র” বার্ষিকীতে । ১৯৫৫ সালে মুক্তি পায় “পথের পাঁচালী”, ও ছবিটি আন্তর্জাতিক খ্যাতি অর্জন করে । পরবর্তী চার দশক ধরে তাঁর বেশ কয়েকটি ছবি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে সম্মান অর্জন করে,যেমন অপরাজিত, মহানগর, চারুলতা, আগন্তুক । তিনি প্রথম ভারতীয় যিনি সাম্মানিক অস্কার অর্জন করেন । ফিল্ম নিয়ে তিনি বেশ কিছু প্রবন্ধ লেখেন । ১৯৬১র মে মাস থেকে “সন্দেশ” বেরোয়, সম্পাদক ছিলেন সত্যজিৎ রায় ও সুভাষ মুখোপাধ্যায়, পত্রিকার প্রথম সংখ্যাতেই প্রকাশ হয় সত্যজিতের করা লিয়ারের ছড়ার অনুবাদ । সে বছরই শারদীয়া থেকে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয় তাঁর প্রথম শঙ্কু উপন্যাস। ১৯৬২র গোড়াতে প্রকাশিত হয় তাঁর প্রথম মৌলিক বাংলা গল্প “বঙ্কউবাবুর বন্ধু” । ১৯৬৫র ডিসেম্বর থেকে আসে জনপ্রিয় ফেলুদা । ১৯৬০এর মাঝামাঝি প্রকাশিত হয় তাঁর প্রথম বই “প্রফেসর শঙ্কু”, ৬০এর শেষদিকে তাঁর “এক ডজন গপ্পো”, আর কয়েক মাস পরে ফেলুদা উপন্যাস “বাদশাহী আংটি” । এর পর থেকে ওঁর লেখা ও বই নিয়মিত প্রকাশিত হতে থাকে । ১৯৮১তে প্রকাশিত হয় ওঁর আত্মজীবনী । ১৯৮২তে তিনি সৃষ্টি করেন আরেকটি নতুন দারাবাহিক চরিত্র তারিণীখুড়ো । ওঁর প্রায় সব গল্পে ও বইতে আছে ওঁর নিজস্ব অলঙ্করণ, “সন্দেশ” পত্রিকাতেও তিনি অসংখ্য অলঙ্করণ করেন ও প্রচ্ছদ আঁকেন ।