- +91 9836250829
- new.script.in@gmail.com
- এ (পি), কলেজ স্ট্রিট মার্কেট, কলকাতা ৭০০০০৭


₹1,000.00
১৯৬১ সাল। অর্থাৎ রবীন্দ্র জন্ম-শতবর্ষের বছর। ততদিনে বাবা চলচ্চিত্র পরিচালক হিসাবে বিশ্ববিখ্যাত। অপু ট্রিলজি ও জলসাঘরের মতো অনেকগুলি আন্তর্জাতিক মানের ছবি করেছেন তিনি। আমার ঠাকুমা সুপ্রভা রায়ের একান্ত ইচ্ছা ছিল ‘সন্দেশ’ পুনঃপ্রকাশিত হয়। কতকটা সেজন্যেই, তাঁর মৃত্যুর পর, ১৩৬৮-র বৈশাখ থেকে কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায় ও বাবার সম্পাদনায় ‘সন্দেশ’ আবার বেরুতে শুরু করে। প্রথম সংখ্যাতেই লেখেন প্রেমেন্দ্র মিত্র ও মোহনলাল গঙ্গোপাধ্যায়ের মতো লেখকেরা। পুরো বছর জুড়েই যেন চাঁদের হাট – আশাপূর্ণা দেবী, লীলা মজুমদার, নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়, অন্নদাশঙ্কর রায়, পুণ্যলতা চক্রবর্তী ও আরও অনেকে। লিখেছেন নিজের ক্ষেত্রে খ্যাতিমান পি. সি. সরকার, শৈলেন মান্না, অশোক মিত্র, অশোকানন্দ দাশ, ইত্যাদি। লেখায় নতুন প্রতিভার স্বাক্ষর রাখলেন গৌরী চৌধুরী (ধর্মপাল), শিবানী রায়চৌধুরী। ইলাসট্রেশনের ক্ষেত্রে দেখা দিল নতুন প্রতিভা সুবোধ দাশগুপ্ত ও শক্তিপ্রসাদ রায়চৌধুরী (যিনি ‘প্রসাদ রায়’ নামে ছবি আঁকতেন ও ‘ময়ূখ চৌধুরী’ নামে কমিকস্ করতেন)।
১৯৬৮র সন্দেশে সবচেয়ে বড় আবিষ্কার ছোটদের লেখক সত্যজিৎ রায়। অনুবাদ দিয়ে শুরু করে তিনি প্রথম শঙ্কুকাহিনী ও কিছু অনবদ্য মৌলিক গল্প লেখেন এই বছরেই।
তখনকার লেটারপ্রেসের যুগে এই পত্রিকার যে এক অদ্ভুত সুন্দর চেহারা ছিল, সেটা তুলে ধরার জন্যই এই ফ্যাকসিমিলি এডিশন। সমস্ত লেখা ও ছবি অটুট রেখে শুধুমাত্র বিজ্ঞাপনগুলি বাদ দেওয়া হয়েছে।
সন্দীপ রায় গ্রন্থায়ন সম্পাদক
সত্যজিৎ রায়
৪০এর দশকের গোড়ায় তাঁর দুটি ইংরেজি গল্প বেরোয় “অমৃতবাজার পত্রিকা”য় । বাংলায় তাঁর প্রথম প্রবন্ধ লেখেন ১৯৪৯এ, সে বছর প্রকাশিত “চলচ্চিত্র” বার্ষিকীতে । ১৯৫৫ সালে মুক্তি পায় “পথের পাঁচালী”, ও ছবিটি আন্তর্জাতিক খ্যাতি অর্জন করে । পরবর্তী চার দশক ধরে তাঁর বেশ কয়েকটি ছবি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে সম্মান অর্জন করে,যেমন অপরাজিত, মহানগর, চারুলতা, আগন্তুক । তিনি প্রথম ভারতীয় যিনি সাম্মানিক অস্কার অর্জন করেন । ফিল্ম নিয়ে তিনি বেশ কিছু প্রবন্ধ লেখেন । ১৯৬১র মে মাস থেকে “সন্দেশ” বেরোয়, সম্পাদক ছিলেন সত্যজিৎ রায় ও সুভাষ মুখোপাধ্যায়, পত্রিকার প্রথম সংখ্যাতেই প্রকাশ হয় সত্যজিতের করা লিয়ারের ছড়ার অনুবাদ । সে বছরই শারদীয়া থেকে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয় তাঁর প্রথম শঙ্কু উপন্যাস। ১৯৬২র গোড়াতে প্রকাশিত হয় তাঁর প্রথম মৌলিক বাংলা গল্প “বঙ্কউবাবুর বন্ধু” । ১৯৬৫র ডিসেম্বর থেকে আসে জনপ্রিয় ফেলুদা । ১৯৬০এর মাঝামাঝি প্রকাশিত হয় তাঁর প্রথম বই “প্রফেসর শঙ্কু”, ৬০এর শেষদিকে তাঁর “এক ডজন গপ্পো”, আর কয়েক মাস পরে ফেলুদা উপন্যাস “বাদশাহী আংটি” । এর পর থেকে ওঁর লেখা ও বই নিয়মিত প্রকাশিত হতে থাকে । ১৯৮১তে প্রকাশিত হয় ওঁর আত্মজীবনী । ১৯৮২তে তিনি সৃষ্টি করেন আরেকটি নতুন দারাবাহিক চরিত্র তারিণীখুড়ো । ওঁর প্রায় সব গল্পে ও বইতে আছে ওঁর নিজস্ব অলঙ্করণ, “সন্দেশ” পত্রিকাতেও তিনি অসংখ্য অলঙ্করণ করেন ও প্রচ্ছদ আঁকেন ।
সুভাষ মুখোপাধ্যায় [১৯১৯-২০০৩]
প্রথম কবিতার বই সাড়া-জাগানো ‘পদাতিক’ । কবিতা, ছড়া, রিপোর্টাজ, ভ্রমণকাহিনী সবই লিখেছেন, অনুবাদও করেছেন । কয়েকটি বইয়ের নাম ‘আমার বাংলা’, ‘চিঠির দর্পণে’ । সম্পাদনা করেছেন ‘পরিচয়’ ও সত্যজিতের তৃতীয় পর্যায়ের ‘সন্দেশ’ । অর্জন করেন জ্ঞানপীঠ সম্মান ।
সন্দীপ রায় (১৯৫২-)
ছোটবেলা থেকেই বাবা (সত্যজিৎ)-এর শুটিঙে যেতেন । “সীমাবদ্ধ” থেকে ফটোগ্রাফার হিসাবে তাঁর নাম থাকতো । পাঠ ভবন ও সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে পড়াশোনা করেন । সত্তর দশকের মাঝামাঝি থেকে ফিল্ম নিয়ে লিখতে থাকেন । “শতরঞ্জ কে খিলাড়ি”র একটি ট্রেলর তৈরি করেন । আশির দশকের গোড়াতে প্রথম ছবি করেন “ফটিকচাঁদ” । গত চল্লিশ বছর নিয়মিত চলচ্চিত্র ও টিভি সিরিয়াল করেছেন । সত্যজিৎ ছাড়া নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়, প্রফুল্ল রায়, পরশুরাম ও শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা থেকে সিনেমা করেন । “সন্দেশ” পত্রিকার সম্পাদক ।
©2020. নিউ স্ক্রিপ্ট. All Rights Reserved.