শ্রেষ্ঠ কবিতা

200.00

Hardback ISBN- 9788194263531
Pages 176

follow Us

তাঁর জীবদ্দশাতেই তাঁর লেখা সেরা কবিতার একটি সংকলনের সম্পাদনার কাজ শুরু হয়েছিল কিন্তু তা প্রকাশিত হয় তার মৃত্যুর পরে। এই বইয়ের পরিশিষ্টে যোগ করা হল জীবনানন্দের ব্যক্তিগত ফাইল থেকে পাওয়া ‘শ্রেষ্ঠ কবিতা’-র প্রথম সংস্করণ ছাপার সময় কবিতা বাছার খসড়া তালিকা।
‘রূপসী বাংলা’ সংকলনের কোনো কবিতারই নামকরণ করেননি কবি। ‘শ্রেষ্ঠ কবিতা’-র প্রথম সংস্করণে এই বই থেকে কোনও কবিতা (যা তখনও অপ্রকাশিত ছিল) ছাপা হয়নি। পরবর্তীকালে ‘রূপসী বাংলা’র কিছু কবিতার নামকরণ করা হয় কবিতার প্রথম কয়েকটি শব্দ দিয়ে। এই সংস্করণেও সেই প্রথা বজায় রাখা হলো।
বর্তমান প্রজন্মের বহু পাঠক জীবনানন্দের মানবতাবাদ, সমাজ-চেতনা ও সভ্যতার সংকটের বিষয়ে চিন্তাধারা জানতে আগ্রহী। সে কথা মনে রেখে এই সংস্করণে নতুন কবিতা যোগ করা হল ‘প্রার্থনা’, ‘সমিতিতে’ (‘মহাপৃথিবী’ থেকে); ‘সৌরকরোজ্জ্বল’, দীপ্তি’ (‘সাতটি তারার তিমির’ থেকে); ‘জার্মানির রাত্রীপথে : ১৯৪৫’, ‘নব প্রস্থান’ ও ‘পৃথিবী আজ’ (‘আলোপৃথিবী’ / কবিতা সমগ্র [১] থেকে )।

 

জীবনানন্দ দাশ [১৮৯৮-১৯৫৪]

তাঁর পিতা সত্যানন্দ শিক্ষক ছিলেন, তাঁর বিয়ে হয় কুসুমকুমারীর সঙ্গে, স্কুলের ছাত্রী থাকতেই যাঁর কবিতা প্রকাশ হতো পত্রিকায় । জীবনানন্দ কলকাতায় এম.এ. পাশ করে সিটি কলেজে শিক্ষকতা শুরু করেন । ছাত্রজীবনেই তাঁর কবিতা বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়, সেগুলি গ্রন্থিত হয় তাঁর প্রথম বই ‘ঝরা পালক’এ । সিটি কলেজ আর্থিক দুরাবস্থায় পড়লে জীবনানন্দ তাঁর চাকরি হারান, সেই সময়ের মানসিক নৈরাশ্যের মধ্যে এক নিজস্ব অনবদ্য স্টাইল গড়ে তুলে তিনি লেখেন ‘ধূসর পান্ডুলিপি’র কবিতাগুলি । ১৯৩০এ তাঁর বিয়ে হয় লাবণ্যর সঙ্গে । ১৯৩২এ কয়েক সপ্তাহের জন্য বরিশালে গিয়ে প্রকৃতির প্রেমে বিভোর হয়ে লিখে ফেলেন এক খাতা ভর্তি কবিতা—যা পরে গ্রন্থিত হয় ‘রূপসী বাংলা’ নামে । ১৯৩৫এ বরিশালের বি.এম. কলেজে শিক্ষকের কাজ পেয়ে তিনি বরিশালে বাস করেন ১৯৪৬ অবধি—এই সময় তিনি প্রচুর কবিতা, গল্প ও উপন্যাস লেখেন, যদিও তাঁর কোনও গদ্য লেখাই তাঁর জীবদ্দশায় প্রকাশিত হয়নি । তিনি ১৯৪৬এ চলে আসেন কলকাতায়, আবার পড়েন কর্মহীনতার সংকটে, যদিও তাঁর লেখালেখি অব্যহত থাকে। ১৯৫৩তে হাওড়া গার্লস কলেজে কাজ পাবার পর তাঁর সমস্যা কিছুটা লাঘব হয় । ১৯৫৪ সালের অক্টোবর মাসে এক ট্রাম দুর্ঘটনাতে গুরুতরভাবে আহত হয়ে ২২শে অক্টোবর তাঁর মৃত্যু হয় ।